admin ২৮ জুলাই ২০২৫ , ১২:২১ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
প্রান্ত পারভেজ : ১৭ বছরের শাসনকাল জুড়ে গুম, খুন, বিরোধী মত দমন ও নিপীড়নের অভিযোগে আলোচিত আওয়ামী লীগ যখন রাজনৈতিক ময়দান থেকে প্রায় গায়েব, তখন হঠাৎ করেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটকে তাদের নতুন ঘাঁটি গড়ে উঠেছে।

৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দেশত্যাগ করে পালানোর পর থেকে দলটির বেশিরভাগ নেতাকর্মী কার্যত আত্মগোপনে চলে যান। দলীয় কার্যালয়গুলো তালাবদ্ধ, মাঠে নেই কোনো মিছিল-মিটিং। অথচ ঠিক এই নিস্তব্ধ মুহূর্তেই গানের তালে তালে শেখ হাসিনাকে “ফিরিয়ে আনার আহ্বান” জানিয়ে টিকটকে সক্রিয় হয়ে উঠেছে একদল তরুণ-তরুণী।
এই প্রচারণা সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। অনেকে বিষয়টিকে “আত্মরক্ষামূলক ডিজিটাল প্রচারণা” বললেও, অধিকাংশ নাগরিকই একে রাজনৈতিক অপপ্রচারের নতুন কৌশল বলে মনে করছেন। বিশেষ করে, টিকটকে ব্যবহৃত কিছু ভাষা, গান ও প্রতীককে উসকানিমূলক ও বিভ্রান্তিকর হিসেবে উল্লেখ করছেন তারা।
রাজধানীর মিরপুরের বাসিন্দা মাহবুব রানা বলেন, “একদিকে আওয়ামী লীগ নেতারা গা ঢাকা দিয়েছেন, অন্যদিকে টিকটকে তাদের ফেরার দাবি! এটা খুবই পরিকল্পিত ও বিভ্রান্তিকর।”
একজন শিক্ষার্থী বলেন, “টিকটকে শেখ হাসিনার নামে হ্যাশট্যাগ, গান আর এডিটেড ভিডিও দিয়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছে, যা তরুণদের মগজ ধোলাইয়ের মত। আমরা চাই সরকার এসব ভিডিওর উপর নজরদারি করুক।”
সাম্প্রতিক সময়ে টিকটককে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অভিযোগ বেড়ে যাওয়ায় সামাজিকভাবে এই মাধ্যমটির উপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারির দাবি উঠছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর এই ধরনের অনলাইন সক্রিয়তা জনমত প্রভাবিত করতে পারে, যা একটি স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য হুমকিস্বরূপ।
আইসিটি আইন বিশেষজ্ঞরা বলেন, “যেহেতু দেশে এক প্রকার রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি হয়েছে, অনলাইনকে কাজে লাগিয়ে নানা ধরনের মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকার ও টিকটক কর্তৃপক্ষের উচিত এসব তৎপরতা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা।

















