admin ৩১ জুলাই ২০২৫ , ৭:৫৮ পূর্বাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
গাজীপুর, শ্রীপুর প্রতিনিধি: জীর্ণশীর্ণ একটি ঘর, বিদ্যুতের ব্যবহার ন্যূনতম—তিনটি কম বিদ্যুৎ খরচের বাতি আর একটি বৈদ্যুতিক পাখা। অথচ সেই ঘরের বিদ্যুৎ বিল এসেছে প্রায় ১১ লাখ টাকা! গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গাড়ারণ গ্রামের ঝালমুড়ি বিক্রেতা আবদুল মান্নান এ বিল দেখে পড়ে যান চরম বিভ্রান্তিতে।

গত শনিবার (জুন মাসের জন্য) পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে পাঠানো বিল কাগজে দেখা যায়, তাঁর বিল ১০ লাখ ৯২ হাজার ৮৬৪ টাকা। স্বাভাবিকভাবে প্রতি মাসে তাঁর বিল আসে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে। বিশাল অঙ্কের বিল দেখে আতঙ্কে পড়েন তিনি ও তাঁর মেয়ে। এরপর স্থানীয়দের পরামর্শে শ্রীপুর আঞ্চলিক বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করেন মান্নান।
বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, একজন কর্মকর্তার ভুলে মিটারের ইউনিট এন্ট্রির সময় এক ডিজিট বাড়তি যুক্ত হওয়ায় এই বিশাল বিল আসে। বিষয়টি জানার পর কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নেয় এবং সংশোধিত প্রকৃত বিল কপি গ্রাহকের হাতে পৌঁছে দেয়।
ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ (শ্রীপুর আঞ্চলিক কার্যালয়) এর উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আনোয়ারুল আলম জানান, “একজন ঝালমুড়ি বিক্রেতার বাড়িতে এমন বিল আসা বোঝাই যায় ভুল হয়েছে। একটি সংখ্যাগত ত্রুটির কারণে ঘটনাটি ঘটেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
আবদুল মান্নান অভিযোগ করেন, এমন ভুল প্রায় সময়ই দেখা যায়। সাধারণ মানুষ বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে সঠিক সেবা না পেয়ে হয়রানির শিকার হন। তিনি বিদ্যুৎ বিভাগকে এসব ভুল কমিয়ে স্বচ্ছ সেবা দেওয়ার আহ্বান জানান।

















