admin ৫ অক্টোবর ২০২৫ , ১:০১ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
প্রান্ত পারভেজ : রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ড বাসিন্দারা বর্তমানে এক গভীর আতঙ্কে ভুগছেন। কারণ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর উত্তর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান পারভেজ জামিনে মুক্তি হয়েছেন, যিনি ছাত্র-জনতা হত্যা, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, নাশকতা এবং বিভিন্ন অপকর্মের একাধিক মামলার আসামি, তাকে ১১ মাস আগে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে মিরপুর ১৩ নাম্বার থেকে গ্রেফতার করেন। ১১ মাস জেল খাটার পর, গত কয়েকদিন ধরে জামিনে মুক্তি পেয়ে লুকিয়ে আবারও এলাকার বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা করছেন। এমনকি এলাকার বিভিন্ন মানুষকে ফোন করে আবারো ফিরে এসেছি বলে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।


ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি পারভেজের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্লবী ও মিরপুর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি, আওয়ামী লীগের শাসনামলে ছাত্রলীগের পদ ব্যবহার করে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে গেলেও গ্রেফতার না হওয়া এবং ক্ষমতাশালী রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয়ে তিনি কার্যত অপরাধের দাপট দেখিয়েগিছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া সত্ত্বেও জামিন পাওয়ার পর তিনি ফোনে নতুন করে ভয়-ভীতি সৃষ্টি, বিভিন্ন মানুষকে হুমকি দেওয়া এবং বড় ধরনের নাশকতা চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান এলাকাবাসী।

পারভেজ নিজেই এলাকার বাসিন্দাদের ফোন করে জানাচ্ছেন যে, তিনি আবার ফিরে এসেছেন, এবং চলমান অপরাধমূলক কার্যক্রম পুনরায় শুরু করবেন। এছাড়াও, তিনি বিভিন্ন ব্যক্তিকে বলে বেড়াচ্ছেন, দেশের মাটিতে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মকান্ড তিনি নিজ হাতে দায়িত্ব নিয়ে চালিয়ে যাবেন, এবং পরিস্থিতি বেশি খারাপ দেখলে যেকোনো সময় বড় ধরনের নাশকতা ঘটিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েও আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে পল্লবীর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় জর্জরিত।
এই অপরাধী পারভেজের রাজনৈতিক শক্তিও একটি বড় কারণ। এমনকি তার এই জামিন করানোর পেছনে বিদেশে বসে থাকা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদেরও হাত রয়েছে বলে জানান এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন মানুষ। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এই পারভেজ ‘মাইরা দে’ নামের একটি কিশোর গ্যাং পরিচালনা করতেন, এবং ‘স্বদেশ মাল্টিপারপাস’ নামের একটি সমিতির মাধ্যমে নারীদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের ঘটনাও ঘটিয়েছে। এছাড়াও, জমি দখল, মারামারি, চাঁদাবাজি ইত্যাদি অপরাধে তার নাম জড়িত।

অপরাধ কর্মকাণ্ডে তার রাজনৈতিক সংযোগও সুস্পষ্ট। তার এ সকল অপকর্ম করতে তার মাথায় হাত রেখে ছিলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের পাশাপাশি ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক ওরফে বোমা মানিক ও এমপি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্। তাদের আশ্রয়ে নাকি তিনি দীর্ঘদিন ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।

এ পরিস্থিতিতে পল্লবীর সাধারণ মানুষ দাবি করছেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন দ্রুত এই অপরাধী ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুনরায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, এবং এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হয়। যাতে এলাকার মানুষ নিরাপদে তাদের জীবন যাপন করতে পারেন।
এখনই এই নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ওয়ার্ড সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান পারভেজকে পুনরায় গ্রেফতার করা না হলে, যে কোন মুহূর্তে মিরপুর এবং পল্লবী এলাকায় বড় ধরনের নাশকতার ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ।

















