admin ৮ অক্টোবর ২০২৫ , ২:৪৫ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
কাজী আশরাফুল হাসান : গেল কয়েকদিন ধরে জামিনে মুক্তি পেয়ে পুনরায় আলোচনায় এসেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের ৩ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান পারভেজ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, তিনি মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই মিরপুর এলাকায় অবস্থানরত নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ পুনরায় জোরদার করছেন, এবং নতুন করে গ্রুপ কলে সংগঠন পুনর্গঠনের তৎপরতাও চালাচ্ছেন।

স্থানীয়দের দাবি, পারভেজের জামিনে মুক্তির পর এলাকায় আবারও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অতীতে নানা অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার, ভয়ভীতি প্রদর্শন, চাঁদাবাজি, ছাত্র জনতা হত্যা সহ ধর্ষণের মত জঘন্য মামলা এবং অভিযোগ রয়েছে এই নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, সাধারণ মানুষ এমনকি স্থানীয় সাংবাদিকরাও তার অত্যাচারের শিকার হয়েছেন বলেও জানা গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, তার নেতৃত্বে গঠিত ‘মাইরা দে’ নামের একটি কিশোর গ্যাং দীর্ঘদিন পল্লবী এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেছিল। এছাড়াও, প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দেওয়া এবং স্থানীয় রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের ঘটনাও স্থানীয়দের কাছে নতুন নয়। বিশেষ করে পল্লবী থানা এলাকার সবুজ বাংলা আবাসিক এলাকা, এভিনিউ- ৫, বাউলিয়াবাদ ও পলাশ নগর ছিল তার ত্রাসের রাজত্ব।

জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের ফোন দিয়ে, নতুন করে ভিন্ন কোন একটি রাজনৈতিক দলের সাথে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন বলেও একাধিক সূত্র জানিয়েছেন।
এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, পারভেজ জামিনে বের হওয়ার পর থেকেই আবার আগের মতো প্রকাশ্যে নয় ফোনে ফোনে সক্রিয় হয়ে উঠছে। আমরা ভয় পাচ্ছি, আবারও যেন পুরনো নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের আধিপত্য ফিরে না আসে।

এদিকে, স্থানীয় প্রশাসনের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, পারভেজের কার্যকলাপ নজরদারিতে রয়েছে। এমনকি তাকে ধরতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সন্ত্রাসী মোস্তাফিজুর রহমান পারভেজকে যেন শিগগিরই গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়। না হলে নতুন করে এই সন্ত্রাসী পারভেজের হাত ধরেই নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ পল্লবী ও মিরপুর এলাকায় পুনর্গঠিত হবে বলেও ধারণা করছেন অনেকে। তাই দ্রুত তাকে গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন সকলের।

















