জাতীয়

এখন থেকে ব্যক্তিগত উপাত্তের মালিকানা থাকবে নিজের কাছেই

  admin ৯ অক্টোবর ২০২৫ , ১২:৪৭ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

সরকার অবশেষে বহু প্রতীক্ষিত ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ’ অনুমোদন দিয়েছে। এর লক্ষ্য হলো ডিজিটাল অর্থনীতিতে উপাত্তের গোপনীয়তা, নিরাপত্তা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করা।

তবে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় স্বার্থের ক্ষেত্রে ভিন্ন সিদ্ধান্ত। যেমন- জাতীয় নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জনশৃঙ্খলা, অপরাধ প্রতিরোধ, তদন্ত, কর ফাঁকি প্রতিরোধ, জনস্বাস্থ্য বা পরিসংখ্যান প্রস্তুতকরণের মতো ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের প্রয়োজন হলে সম্মতি গ্রহণ থেকে অব্যাহতির বিধান রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশটি অনুমোদিত হয়। বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আইনটির অনুমোদন এবং এর বিস্তারিত দিক তুলে ধরেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী।

বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, এই অধ্যাদেশটি জারি হলে উপাত্ত সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ, মজুত, ব্যবহার, স্থানান্তর, প্রকাশ, ও বিনষ্টকরণসহ ডিজিটাল সেক্টরের উন্নয়নে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই আইনের মাধ্যমে ব্যক্তিগত উপাত্তের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখা সহজ হবে।

প্রস্তাবিত অধ্যাদেশে মোট ৫৭টি ধারা রয়েছে। এই অধ্যাদেশের মূল বিধানাবলীতে স্পষ্ট করা হয়েছে যে, কোনো ব্যক্তির উপাত্ত তার মালিকানাধীন গণ্য হবে। উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের জন্য উপাত্তধারীর লিখিত বা অন্য কোনো আইনসম্মতভাবে সম্মতি গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং উপাত্তধারী যেকোনো সময় সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে তার সম্মতি প্রত্যাহার করার ক্ষমতা রাখবেন।

এ ছাড়া, উপাত্ত-জিম্মাদার কর্তৃক প্রক্রিয়াকৃত উপাত্তে উপাত্তধারীর প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। উপাত্তধারীর সম্মতি ব্যতিরেকে, যে উদ্দেশ্যে উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছিল— সেই উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোনো উদ্দেশ্যে তা প্রকাশ করা যাবে না।

অধ্যাদেশে সংবেদনশীল ব্যক্তিগত উপাত্ত (যেমন: স্বাস্থ্য, ধর্মীয় বিশ্বাস ইত্যাদি) শর্তসাপেক্ষে প্রক্রিয়াকরণের বিধান রাখা হয়েছে। শিশু বা সম্মতি প্রদানের সক্ষম নয় এমন ব্যক্তির উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের জন্য পিতামাতা বা আইনগত অভিভাবকের সম্মতি নিতে হবে।

উপাত্ত-জিম্মাদার মূল উদ্দেশ্যের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হলে উপাত্তধারীর ব্যক্তিগত উপাত্ত অধিকতর প্রক্রিয়া করতে পারবেন, তবে তিনি ব্যক্তিগত উপাত্ত নির্ধারিত মেয়াদের অতিরিক্ত সময় ধরে রাখতে পারবেন না।

সরকার অবশেষে বহু প্রতীক্ষিত ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ’ অনুমোদন দিয়েছে। এর লক্ষ্য হলো ডিজিটাল অর্থনীতিতে উপাত্তের গোপনীয়তা, নিরাপত্তা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করা।

তবে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় স্বার্থের ক্ষেত্রে ভিন্ন সিদ্ধান্ত। যেমন- জাতীয় নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জনশৃঙ্খলা, অপরাধ প্রতিরোধ, তদন্ত, কর ফাঁকি প্রতিরোধ, জনস্বাস্থ্য বা পরিসংখ্যান প্রস্তুতকরণের মতো ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের প্রয়োজন হলে সম্মতি গ্রহণ থেকে অব্যাহতির বিধান রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশটি অনুমোদিত হয়। বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আইনটির অনুমোদন এবং এর বিস্তারিত দিক তুলে ধরেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী।

বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, এই অধ্যাদেশটি জারি হলে উপাত্ত সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ, মজুত, ব্যবহার, স্থানান্তর, প্রকাশ, ও বিনষ্টকরণসহ ডিজিটাল সেক্টরের উন্নয়নে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই আইনের মাধ্যমে ব্যক্তিগত উপাত্তের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখা সহজ হবে।

প্রস্তাবিত অধ্যাদেশে মোট ৫৭টি ধারা রয়েছে। এই অধ্যাদেশের মূল বিধানাবলীতে স্পষ্ট করা হয়েছে যে, কোনো ব্যক্তির উপাত্ত তার মালিকানাধীন গণ্য হবে। উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের জন্য উপাত্তধারীর লিখিত বা অন্য কোনো আইনসম্মতভাবে সম্মতি গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং উপাত্তধারী যেকোনো সময় সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে তার সম্মতি প্রত্যাহার করার ক্ষমতা রাখবেন।

এ ছাড়া, উপাত্ত-জিম্মাদার কর্তৃক প্রক্রিয়াকৃত উপাত্তে উপাত্তধারীর প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। উপাত্তধারীর সম্মতি ব্যতিরেকে, যে উদ্দেশ্যে উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছিল— সেই উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোনো উদ্দেশ্যে তা প্রকাশ করা যাবে না।

অধ্যাদেশে সংবেদনশীল ব্যক্তিগত উপাত্ত (যেমন: স্বাস্থ্য, ধর্মীয় বিশ্বাস ইত্যাদি) শর্তসাপেক্ষে প্রক্রিয়াকরণের বিধান রাখা হয়েছে। শিশু বা সম্মতি প্রদানের সক্ষম নয় এমন ব্যক্তির উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের জন্য পিতামাতা বা আইনগত অভিভাবকের সম্মতি নিতে হবে।

উপাত্ত-জিম্মাদার মূল উদ্দেশ্যের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হলে উপাত্তধারীর ব্যক্তিগত উপাত্ত অধিকতর প্রক্রিয়া করতে পারবেন, তবে তিনি ব্যক্তিগত উপাত্ত নির্ধারিত মেয়াদের অতিরিক্ত সময় ধরে রাখতে পারবেন না।

এই অধ্যাদেশের উদ্দেশ্যে সরকার ব্যক্তিগত উপাত্তকে চারটি শ্রেণিতে বিভক্ত করেছে— পাবলিক বা উন্মুক্ত ব্যক্তিগত উপাত্ত, অভ্যন্তরীণ ব্যক্তিগত উপাত্ত, গোপনীয় ব্যক্তিগত উপাত্ত এবং সীমাবদ্ধ ব্যক্তিগত উপাত্ত।

গঠিত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত স্বতন্ত্র উপাত্ত নিরীক্ষক নির্ধারিত সময়ে ব্যক্তিগত উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণ সংক্রান্ত কার্যক্রম নিরীক্ষা করবেন।

এছাড়া, এই অধ্যাদেশের উদ্দেশ্য পূরণের জন্য দ্বিপাক্ষিক, বহুপাক্ষিক এবং আন্তঃসীমান্ত ব্যক্তিগত উপাত্ত বিনিময় এবং অন্যান্য সহযোগিতার জন্য অন্য দেশ বা বহুপাক্ষিক সংস্থার সাথে সংযুক্তির বিধানও রয়েছে। উপাত্তধারীর অধিকার লঙ্ঘিত হলে প্রশাসনিক জরিমানা এবং ক্ষতিপূরণ আদায়ের বিধান রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, অসৎ উদ্দেশ্যে প্রক্রিয়াকরণ, অননুমোদিতভাবে প্রবেশ বা হস্তক্ষেপ, বেআইনি টেম্পারিং বা সংবেদনশীল ব্যক্তিগত উপাত্ত অননুমোদিতভাবে প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে দণ্ড আরোপের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই অধ্যাদেশ বাংলাদেশে ডিজিটাল স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

আরও খবর:

Sponsered content