ক্যাম্পাস

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন

  admin ৯ অক্টোবর ২০২৫ , ৮:১৬ পূর্বাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

তারিফুল ইসলাম তারিফ : এক্সেস টু সার্ভিস: মেন্টাল হেল্থ ইন ক্যটাসট্রোফিস এন্ড ইমারজেন্সিস” প্রতিপাদ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগ এবং আন্তর্জাতিক সংগঠন গ্লোবাল স্টিট কানেক্ট-এর যৌথ উদ্যোগে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস-২০২৫ উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে র‍্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

র‍্যালি ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম। আরও উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান, অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক ড. মহসিন রেজা, সহকারী অধ্যাপক মুহা: শহীদুল হকসহ বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

আলোচনায় বক্তারা মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব ও সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। সহকারী অধ্যাপক মুহা: শহীদুল হক বলেন, “নিজের পাশাপাশি আশেপাশের মানুষগুলোর মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতিও যত্নশীল হতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে পরিবার, শিক্ষক ও বন্ধুদের সহানুভূতিশীল ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অধ্যাপক ড. মহসিন রেজা বলেন, “বর্তমানে ৭৫ শতাংশ কিশোর-কিশোরী কোনো না কোনো মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত। এটি শুধু ব্যক্তিগত বিষয় নয়; বরং আমাদের সামষ্টিক সম্পর্ক ও সামাজিক ভারসাম্যের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন সতর্ক করে বলেন, “আমাদের প্রতিটি আচরণে সংবেদনশীলতা বজায় রাখতে হবে যাতে কারো মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে।

সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, “আধুনিক জীবনের চাপ ও প্রতিযোগিতা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। অনেক সময় মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে তুচ্ছ করা হয়, যা অনুচিত। আমাদের সমাজকে আরো সহনশীল ও সহানুভূতিশীল করে গড়ে তুলতে হবে।

তিনি আরও জানান, ১০ অক্টোবর শুক্রবার হওয়ায় দিবসটি একদিন আগেই, ৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার পালন করা হয়েছে, যেন শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া যায়।

উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির সুযোগ এখনো বিশ্বব্যাপী সংকুচিত। জরুরি পরিস্থিতিতে এই সেবা আরো দুর্লভ হয়ে পড়ে। তাই এবারের প্রতিপাদ্যে দুর্যোগ ও জরুরি অবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যসেবার প্রবেশাধিকারকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

আরও খবর:

Sponsered content