admin ১৬ অক্টোবর ২০২৫ , ৯:০৩ পূর্বাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
প্রান্ত পারভেজ : গেল কয়েক মাস ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক ভাইরাল হচ্ছে নানান বিতর্কিত চরিত্র ও ঘটনা। কখনো মামুন লায়লা, কখনো পরীমনি, আবার কখনো হিরো আলম ও রিয়া মুনির কাণ্ড। এসব দেখে সাধারণ মানুষ যেমন ক্লান্ত, তেমনি বিরক্তও। ফেসবুক, ইউটিউব ও ইনস্টাগ্রামে এদের কান্ড নিয়ে একপ্রকার খিচুড়ি মার্কা অবস্থা। এরই মাঝেই নতুন করে আলোচনায় এসেছে কিশোরগঞ্জের কাঠমিস্ত্রি থেকে কনটেন্ট ক্রিয়েটর হয়ে ওঠা রিপন মিয়া।

সম্প্রতি রিপনের মা নিজ উদ্যোগে সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে ছেলে রিপনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি অভিযোগ করেন, রিপন নানা নাটকীয় কনটেন্টের আড়ালে বাস্তব জীবনে ভিন্ন চরিত্রের মানুষ। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকরা রিপনের কাছে জানতে চাইলে উল্টো সাংবাদিককেই হেনস্তা করেন তিনি। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই নতুন করে শুরু হয় বিতর্ক।
এ ঘটনার পরপরই রিপন মিয়া ও তার পরিবার বিভিন্ন টেলিভিশন ও অনলাইন পোর্টালের স্টুডিওতে গিয়ে নিজেদের বক্তব্য দেওয়ার নামে যেন আরেকটি “নাটক” মঞ্চস্থ করতে শুরু করেন। কান্নাকাটি, নাটকীয় আবেগ, নাটকের সংলাপের মতো বক্তব্য, সব মিলিয়ে দর্শকদের চোখে এটি যেন এক নতুন ‘ড্রামা সিরিজ’।
ফেসবুকে সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া থেকে বোঝা যাচ্ছে, অনেকেই আর রিপন মিয়ার গল্প বিশ্বাস করতে রাজি নন। এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, “ওদের কথায় বাটপারি আছে, সবকিছু আগেই সাজানো।” আবার আরেকজন মন্তব্য করেছেন, নতুন করে ভাইরাল হওয়ার জন্যই এসব নাটক করছেন তিনি।

সব মিলিয়ে প্রশ্ন উঠছে, রিপন মিয়া কি সত্যিই একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর, নাকি তিনি ও তার পরিবার নতুন ধরনের প্রতারণার কৌশল রপ্ত করেছেন? সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে।
নেটিজেন্ডরা বলছেন, বিনোদনের নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক মিথ্যা নাটক ও বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট তৈরি শুধু সাধারণ মানুষকেই নয়, বরং পুরো অনলাইন সংস্কৃতিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে। আর সচেতন মহলের দাবি, বিনোদন আর কনটেন্টের নামে এ ধরনের অশালীন মিথ্যাচার আর প্রতারণা ছড়িয়ে ধ্বংস হচ্ছে আগামীর প্রজন্ম। তাই অপসংস্কৃতির অবাধ বিচরণ বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি সকলের।

















