admin ২৫ অক্টোবর ২০২৫ , ৫:২৯ পূর্বাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া(জে এ ভূঁইয়া) : বিজিবির প্রস্তাবনা অনুযায়ী প্রশাসনসহ সম্মিলিত প্রচষ্টায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের যাদুকাটা নদীর বালু মহাল বর্তমানে অসাধু ও কুচক্রী মহল এর হাত থেকে সুরক্ষিত হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সুনামগঞ্জের যাদুকাটা নদীতে সপ্তাহ খানেক পূর্বে স্থানীয় কিছু কুচক্রী মহল দখলকৃত খাস জমি বিক্রি করে বালু খেকোদের নিকট, যার ফলে পাড়ের জমি থেকে বালু নেওয়ার কারণে নদীর পাড় ভাঙ্গনের সম্ভাবনা দেখা দেয়।
গত এক সপ্তাহে নিয়মিত ভাবে সিভিল প্রশাসন কে সাথে নিয়ে টাস্কফোর্স গঠন করে বালু মহালে অভিযান চালায় বিজিবি। এছাড়াও ক্যাম্পে জনবল বৃদ্ধিসহ যাদুকাটা নদীতে (২৪ ঘন্টা) দিন এবং রাতে টহল কাযক্রম পরিচালনা করছে বিজিবি।
আরও জানা গেছে,দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি খ্যাত পর্যটন স্পট-শিমুল বাগান, বারেক টিলা, যাদুকাটা নদী। তাছাড়াও আমরা জানি ৩৬০ আউলিয়ার দেশ পূণ্যভূমি সিলেট- সুনামগঞ্জের যাদুকাটা নদীর পাড়ে রয়েছে শারফিনের মাজার এবং সনাতনী হিন্দু সম্প্রদায়ের পবিত্র স্থান অদ্বৈত মহাপ্রভূর বাড়ীসহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থান। তাই পরিবেশ রক্ষাসহ যাদুকাটা নদীর পাড় ভাঙ্গন রক্ষায় প্রশাসনের সাথে অত্র এলাকার স্থানীয় জনগন, সুশীল সমাজসহ সকল স্তরের মানুষের সহযোগীতা একান্ত প্রয়োজন। বর্তমান অবস্থা বজায় থাকলে লোকালয় পর্যটন স্পটসহ নদী/গ্রাম ভাঙ্গন রোধ সম্ভব হবে।
লাউড়েরগড় এলাকা বাসিন্দাগন,সীমান্তের অতন্ত্র প্রহরী হিসেবে দেশের সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (২৮ বিজিবি)।
বর্তমানে বিজিবির টহল তৎপরতার পাশাপাশি সিভিল প্রশাসন কর্তৃক যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করার ফলে, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের কার্যক্রমে সফলতা এসেছে।
এলাকাবাসির দাবী বর্তমান স্থীতিশীল অবস্থা বজায় রেখে বৈধ উপায়ে ইজারাভূক্ত এলাকা হতে সনাতন পদ্ধতিতে যেন বালু উত্তোলন করা হয়।
যাদুকাটা নদীর ইজারাদার মোঃ নাসির মিয়া জানান,এখন যাদুকাটা নদীতে ইজারা বর্হিভূত এলাকায় আর অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কার্যক্রম দেখা যাচ্ছেনা। এ ব্যাপারে বিজিবি,পুলিশসহ প্রশাসনের কার্যকারী পদক্ষেপে, সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসার ফলে স্থানীয় এলাকাবাসী বর্তমান ধারা বজায় রাখার জন্য দাবী জানিয়েছেন।
সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়ন এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল এ কে এম জাকারিয়া কাদির পিএসসি জানিয়েছেন,নিয়ম মেনে যাদুকাটা নদীর গভীর হতে সঠিক পদ্ধতিতে বালু উত্তোলন করছে বালু ব্যবসায়ীরা। ভবিষ্যৎতে যদি নিয়ম ভঙ্গ করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতে দেখা যায় তাহলে সাথে সাথে সিভিল প্রশাসন, স্থানীয় জনসাধারণকে সাথে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে বলে জানান বিজিবি অধিনায়ক।
কিন্তু অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে ২৪ ঘন্টা বিজিবি সদস্য নিয়োজিত থাকলে সীমান্ত সুরক্ষাসহ অস্ত্র, মাদক ও চোরাচালান বন্ধে বিজিবি’র মূল দায়িত্ব ব্যাহত হবে বলে উদ্ধেগ প্রকাশ করেছেন।

















