admin ৩ নভেম্বর ২০২৫ , ৮:১২ পূর্বাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
মাহবুবুজ্জামান সেতু : নওগাঁর মান্দা উপজেলায় বার্ষিক উন্নয়ন তহবিলের (এডিপি) আওতায় তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে অর্থ হরিলুটের অভিযোগ উঠেছে। কাগজপত্রে কাজ সম্পন্ন দেখানো হলেও বাস্তবে এসব প্রকল্পের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এডিপির আওতায় পাঁজরভাঙা বিশ্ববাঁধ থেকে ছাদের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সিসিকরণে ৩ লাখ টাকা, প্রসাদপুর বাজার এলাকায় পানি নিষ্কাশনের ড্রেন সংস্কারে ৩ লাখ টাকা এবং তেঁতুলিয়া ইউনিয়নে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় রাস্তার দু’পাশে ঔষধি গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে বনায়নকরণে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেখানো হয়েছে। উপজেলা এলজিইডি অফিসের তালিকায় প্রকল্প তিনটি যথাক্রমে ৫৬, ১২৬ ও ১৩৯ নম্বরে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
কাগজপত্র অনুযায়ী, ২০২৪ সালের নভেম্বরে উপজেলা পরিষদের বিশেষ সভায় পাঁজরভাঙা বিশ্ববাঁধ থেকে ছাদের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সিসিকরণ এবং প্রসাদপুর বাজারের ড্রেন সংস্কার প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। আর চলতি বছরের মার্চ মাসে তেঁতুলিয়া ইউনিয়নে রাস্তার দু’পাশে বনায়ন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।
তবে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এসব প্রকল্পের কোনো বাস্তবচিত্র মেলে না। প্রসাদপুর বাজারে গিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী আবু বক্কর সিদ্দিক ও চা দোকানি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বাজারের পানি নিষ্কাশনের ড্রেনটি নির্মাণের পর আর কখনো সংস্কার হয়নি। বৃষ্টি হলেই বাজারের রাস্তা পানিতে তলিয়ে যায়।
মুড়ি বিক্রেতা গৌতম কুমার বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি বহু বছর ধরে ড্রেনের পাশেই দোকান করছি। কোনো কাজ হলে চোখ এড়ানোর কথা নয়। এটা শুভঙ্করের ফাঁকি ছাড়া আর কিছুই নয়।
অন্যদিকে পাঁজরভাঙা বিশ্ববাঁধ থেকে ছাদের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটির কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের রাস্তার দু’পাশেও বনায়ন কাজের কোনো হদিস মেলেনি।
উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর থেকে পাওয়া কাগজপত্রে দেখা যায়, পাঁজরভাঙার রাস্তা সিসিকরণ টেন্ডারের মাধ্যমে, প্রসাদপুর বাজারের ড্রেন সংস্কার আরএফকিউ পদ্ধতিতে এবং তেঁতুলিয়ার বনায়ন প্রকল্প পিআইসির মাধ্যমে বাস্তবায়ন দেখানো হয়েছে। তবে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে কারা, তা নিশ্চিত করতে পারেননি এলজিইডি কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান কামরুল বলেন, ‘রাস্তার পাশে বনায়ন কাজটি উপজেলা পরিষদ থেকে করা হয়েছে বলে শুনেছি। আমাকে এ বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।
উপজেলা প্রকৌশলী আবু সায়েদ বলেন, ‘আমি এ উপজেলায় যোগদানের আগেই এসব কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কাগজপত্র না দেখে কিছু বলতে পারছি না।

















