অর্থনীতি

সফলতার আলোয় মালয়েশিয়া প্রবাসী হারুন অর রশিদের বিদেশি ফলের বাগান

  admin ৩ নভেম্বর ২০২৫ , ১২:৫৫ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

প্রান্ত পারভেজ : প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা আর দেশের মাটির প্রতি ভালোবাসা, এই দুইয়ের সমন্বয়ে বাংলাদেশের ফল চাষে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন মালয়েশিয়া প্রবাসী হারুন অর রশিদ। কুমিল্লার সন্তান হলেও তিনি যশোরের একাধিক স্থানে গড়ে তুলেছেন বিদেশি প্রজাতির ফলের চোখ ধাঁধানো বাগান, যা তাঁকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসাবে পরিচিতি এনে দিয়েছে।

মাল্টা বাগানে নতুন স্বাদ

​বাজারের গতানুগতিক মাল্টার চেয়েও অনেক বেশি সুস্বাদু ও মিষ্টি বিদেশি জাতের মাল্টা চাষ করে তাক লাগিয়েছেন হারুন অর রশিদ। যশোরের বিভিন্ন এলাকায় মোট শতক জায়গার মধ্যে তিনি এই বিশেষ মাল্টা বাগানটি তৈরি করেছেন। তাঁর এই মাল্টা বাগানের ফলন ও স্বাদের ভিন্নতা ইতোমধ্যে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। সফলভাবে মাল্টা চাষ করে তিনি প্রমাণ করেছেন, বাংলাদেশের মাটিতেও আন্তর্জাতিক মানের ফল ফলানো সম্ভব।

শুধু মাল্টা নয়, ফলের এক বিশাল সম্ভার

​হারুন অর রশিদের উদ্যোগ কেবল মাল্টা বাগানেই সীমাবদ্ধ নয়। তিনি তাঁর বাগানগুলোতে আরও যোগ করেছেন বিদেশি নানা জাতের আম, লিচু এবং ড্রাগন ফল। এই বিভিন্ন প্রজাতির ফলের চাষ তাঁর কৃষি উদ্যোগকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। প্রবাসে থাকার পরও দেশের মাটিতে এমন বৈচিত্র্যময় বিদেশি ফলের বাগান করে তিনি গভীর আনন্দ বোধ করছেন।

কুমিল্লাতেও ছোঁয়া সফলতার

​যশোরের পাশাপাশি নিজের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লাতেও হারুন অর রশিদের কৃষি উদ্যোগের ছাপ রয়েছে। সেখানেও দশ শতক জায়গার ওপর তিনি বিভিন্ন প্রজাতির ফলের আরও একটি বাগান গড়ে তুলেছেন।

স্বপ্ন এখন বিদেশে রপ্তানির

​প্রবাসী এই উদ্যোক্তা বর্তমানে তাঁর বাগানের মাধ্যমে বাংলাদেশের ফলের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হচ্ছেন। তবে তাঁর স্বপ্ন আরও বড়। তিনি আশাবাদী যে, তাঁর উৎপাদিত বিদেশি প্রজাতির উন্নত মানের ফল ভবিষ্যতে বিদেশেও রপ্তানি করতে পারবেন। এই সফলতা তাঁকে আনন্দিত করেছে এবং দেশের কৃষিখাতকে সমৃদ্ধ করার পথে এক নতুন অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।

​হারুন অর রশিদের এই উদ্যোগ দেশের যুবসমাজ এবং অন্য প্রবাসীদের জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। দূর প্রবাসে থেকেও দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার পাশাপাশি কৃষিতে নতুনত্ব আনায় তাঁর এই সফলতা নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য।

আরও খবর:

Sponsered content