নওগাঁর মহাদেবপুরে একরামুল হক নামের এক ভ্যানচালকের বসত-বাড়ি পুড়ে প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। উপজেলার সফাপুর ইউনিয়নের পবাতৈড় তেলোঙ্গাপাড়ার মোড়ের দক্ষিণ পার্শ্বে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, গত ৪ মে বাশঁবাড়িয়া-পবাতৈড় তেলোঙ্গাপাড়া মোড়ের মৃত মোসলেমের ছেলে ক্ষতিগ্রস্থ ভানচালক একরামুল হক স্ব-পরিবারে খাবার শুয়ে পড়েন। এরপর রাত ২ টার দিকে আগুন লাগার বিষয়টি টের পান। মুহুর্তের মধ্যেই তা আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকান্ডে টিনের ছাউনী,উয়া,বাটাম,চাল,কাপড়-চোপড়, ক্ষতিগ্রস্থ ভানচালক একরামুল হক জানান, পেশায় তিনি একজন ভ্যান চালক। প্রায় এক মাস পূর্বে তার স্ত্রী রোকসানা বাদী হয়ে পবাতৈড় গ্রামের মৃত আঃ রহমানের ছেলে রেজাউল (৪২), নুরনবী (৪৫), নুরনবী’র ছেলে ইস্রাফিল (২০) এর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে নারী নির্যাতনের মামলা করেন। বর্তমানে মামলাটি নওগাঁ পিবিআই অফিসে তদন্তাধীন। তার স্ত্রী উক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা করায় উক্ত আসামীরা মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য বলেন। তার স্ত্রী মামলাটি তুলে না নেওয়ায় মারপিট এবং খুন জখমসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করেন প্রতিপক্ষের লোকজন। উক্ত বিরোধের জের ধরে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটানো হয়েছে দাবি করেন তিনি। এব্যাপারে প্রতিপক্ষের রেজাউল ইসলামসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মারপিট এবং আগুন লাগানোর সাথে তাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। মূলতঃ জমি সংক্রান্ত বিরোধের বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য পরিকল্পিতভাবে নিজের বাড়িতে নিজেই আগুন লাগিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্য পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন একরামুল গংরা। আর এসব কাজে তাকে সহযোগীতা করছেন এলাকার একটি কুচক্রী মহল। এর তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমীন বলেন, এত কিছু জানা নেই। তবে, মারপিটের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে বলেও জানান তিন।
দেশজুড়ে
রিলেটেড নিউজ