ঢাকা, শুক্রবার, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
logo

মহাদেবপুরে গাছের সাথে এ কেমন শত্রুতা!


মাহবুবুজ্জামান সেতু: প্রকাশিত:  ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:২৮ এএম

মহাদেবপুরে গাছের সাথে এ কেমন শত্রুতা!

মহাদেবপুর  (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ নওগাঁর মহাদেবপুরে ছাগলে পাতা খাওয়াকে কেন্দ্র করে এক শিক্ষক পরিবারের রোপনকৃত বিভিন্ন প্রজাতির ২৫০ টি আম গাছ কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সারতা পশ্চিম পাড়া গ্রামে। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে মহাদেবপুর থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন আল হেলাল নামে এক শিক্ষক। অভিযোগকারী আল হেলাল সারতা পশ্চিম পাড়া গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে ও কুরাইল শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ।

অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত বিরোধ, পূর্ব শত্রুতা এবং ছাগলে পাতা খাওয়াকে কেন্দ্র করে গত ৫ আগস্ট (সোমবার) বিকেলে প্রতিপক্ষের লোকজন বাঁশের লাঠি, রামদা, হাসুয়া, সুলপিসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সঙ্গবদ্ধ হয়ে এসে সারতা পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন (৬০) এর  উপর হামলা চালিয়ে এলোপাথারীভাবে মারপিট করতে থাকে। এতে তার বাম হাত ভেঙে যায় ও হাসুয়া দিয়ে মাথায় আঘাতের ফলে মাথা কেটে রক্তাক্ত জখম হন। এ সময় আলতাফ হোসেনের স্ত্রী নুরুন্নাহার (৫২), ছেলে কাওছার আহম্মেদ (৩৮)  ও  আল হেলাল (৩৫) এগিয়ে' এলে তাদেরকেও বেধড়ক মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়ে দেয়া হয়। এসময় তারা চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরেরদিন আলহাজ্ব আলতাফ হোসেনের ২ বিঘা জমির আম বাগানের বিভিন্ন প্রজাতির ২৫০ টি আমগাছ কেটে ফেলে প্রতিপক্ষের লোকজন। এতে  প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। এর নায্য বিচারসহ ক্ষতিপূরণ দাবি করেন ভূক্তভোগীরা।

এবিষয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনেরা কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তাদের দাবি যে, গাছ কাটার সাথে তাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই।

মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমিন বলেন,  এ ঘটনায়  সারতা পশ্চিমপাড়া গ্রামের আল হেলাল একই গ্রামের মৃত আঃ আজিজের ছেলে  ইউনুছ আলী (৫৫) ও ইদ্রিস আলী (৫২), মৃত নফর আলীর ছেলে মোজাম্মেল হক (৫৫) ও আঃ রাজ্জাক (৫৮), মৃত নছির উদ্দিনের ছেলে জিল্লুর রহমান (৫২), মৃত রইচ উদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৫০), মোজাম্মেল হকের ছেলে মোর্শেদ (৩৫),ইউনুছ আলীর স্ত্রী আমেনা (৪৫) দেলোয়ারের স্ত্রী শাহিনা (৪২) এবং মোর্শেদের স্ত্রী নুরুন্নাহার (২৮) গংদের বিরুদ্ধে লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন। অপরদিকে বিবাদীরাও একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।