অপরাধ

চরফ্যাশনে লুকিয়ে ছিল মোহাম্মদপুরের খুনি, র‍্যাবের সফল অভিযান

  admin ১৯ জুলাই ২০২৫ , ৮:০৩ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আলোচিত আল আমিন হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামিকে ভোলার চরফ্যাশন থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। এক যৌথ অভিযানে র‍্যাব-২ ও র‍্যাব-৮ এর সদস্যরা শুক্রবার রাতে বেতুয়া লঞ্চঘাট এলাকা থেকে মোশারফ হোসেন ও রিপন ওরফে গিট্টু রিপনকে গ্রেপ্তার করে।

শনিবার (১৯ জুলাই) সকালে র‍্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) খান আসিফ তপু সাংবাদিকদের জানান, নিহত আল আমিন পেশায় দোকান কর্মচারী হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনানুষ্ঠানিক সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। কিছুদিন আগে তিনি অভিযুক্ত মোশারফের ছোট ভাই মান্নানকে পুলিশে ধরিয়ে দিতে সহায়তা করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মোশারফ তার সহযোগীদের নিয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ১৬ জুলাই মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যান এলাকায় আল আমিনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে।

ঘটনার দিন সন্ধ্যায় দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় আল আমিনের ওপর হামলা চালানো হয়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে ডান পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয় এবং ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়। পরে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের মা বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর-৫৯, ধারা ৩০২/৩৪)। মামলার পরপরই র‍্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়ে দেয় এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চরফ্যাশনে তাদের অবস্থান শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করে।

র‍্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত মোশারফ পেশায় রিকশাচালক হলেও মোহাম্মদপুর ও আশপাশের এলাকায় কিশোর গ্যাং লিডার, মাদক ব্যবসায়ী এবং চিহ্নিত সন্ত্রাসী হিসেবে কুখ্যাত। এর আগেও একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়ে জামিনে মুক্তি পেয়ে অপরাধে লিপ্ত ছিলেন।

অন্যদিকে রিপন ওরফে গিট্টু রিপন পেশায় রংমিস্ত্রি হলেও মোশারফের সহযোগী হিসেবে চুরি, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানায় র‍্যাব, যা যাচাই-বাছাই শেষে ভবিষ্যতে আরও অভিযান চালানো হবে। বর্তমানে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আরও খবর:

Sponsered content