ঢাকা, শুক্রবার, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গরমে আরও বেড়েছে সবজির দাম

জনতার আলো, অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক :

প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ০৩:২৭ পিএম

গরমে আরও বেড়েছে সবজির দাম

তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করছে ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। আরও ৭২ ঘণ্টার ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি হয়েছে দেশে। গত মার্চ মাস থেকে আবহাওয়ার এমন বৈরী আচরণে বিপাকে সব শ্রেণিপেশার মানুষ। বৈরী আবহাওয়ার প্রভাব পড়েছে সর্বত্র। বিশেষ করে প্রচণ্ড গরমে বাজারে সবজি সরবরাহ কম। ফলে দাম আরও বেড়েছে।

সবজি বিক্রেতারা বলছেন, তাপপ্রবাহের প্রভাব পড়েছে সবজি সরবরাহের ক্ষেত্রে। চাষিদের ক্ষেতে সবজি নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া বারবার সেচ দেওয়ার কারণে সবজি উৎপাদনের খরচও বেড়েছে। যে কারণে গ্রামের মোকামে সবজির দাম বেশি।

অন্যদিকে, বাজারে আদা-রসুনের দামও বাড়তি। এছাড়া চাল, ডাল, আটা, ময়দার মতো পণ্যের সঙ্গে মাছ ও মাংসের দামও স্থিতিশীল হয়ে আছে।

পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, নতুন দামের সয়াবিন বাজারে আসা শুরু হয়েছে। এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের লিটারপ্রতি নতুন দাম ধরা হয়েছে ১৬৭ টাকা, যা আগের চেয়ে ৪ টাকা বেশি।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব সময় নাগালের মধ্যে থাকা পেঁপেও এখন ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা বছরের অধিকাংশ সময় ৪০ টাকার মধ্যে থাকে। এছাড়া ঈদের পরে কেজিপ্রতি আলুর দাম ১৫ টাকা বেড়ে মানভেদে ৫৫-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা ঈদের আগে ৪০-৫০ টাকার মধ্যে ছিল।

অন্যান্য প্রয়োজনীয় সবজির মধ্যে বেগুন ৭০-৮০ টাকা, কাঁকরোল ৭০-৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০-৭০ টাকা, পটল ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সজনে, উস্তা, করলা ও ঝিঙের মতো সবজির দাম কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মালিবাগ বাজারের বিক্রেতা মুক্তার হোসেন বলেন, সবজির সরবরাহ কম। গরমে সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে দাম বেড়েছে।তিনি বলেন, গ্রামগঞ্জের মোকামগুলোতে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় অধিকাংশ সবজির দাম ৮-১০ টাকা কেজিপ্রতি বেড়েছে। সেভাবে ঢাকার বাজারেও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে

এদিকে, বাজারে প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে। কোথাও কোথাও ৬০ টাকাও বিক্রি হতে দেখা গেছে। প্রচণ্ড গরমের কারণে লেবুর চাহিদা বাড়ায় দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

ঈদের পর দাম বেড়েছে অন্যান্য উপকরণেরও। বাজারে দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহ আগে যা ছিল ১৩০ থেকে ১৭০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে রসুনের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা। গত বছরের এই সময়ে দেশি রসুন বিক্রি হয়েছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা। আমদানি করা রসুনের দামে অবশ্য গত এক সপ্তাহে বড় কোনো পরিবর্তন আসেনি। বিদেশি রসুনের দাম এখন ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি। তবে দেশি রসুনের দাম বেড়েছে।

ঈদের আগে বেড়ে যাওয়া গরুর মাংসের দাম কমেনি। কেজিপ্রতি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা কেজিতে। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা কেজিতে।

তবে বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম অবশ্য সামান্য কমেছে। আড়াই’শ টাকার আশপাশ থেকে নেমে এসেছে কেজিপ্রতি ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়। তবে উল্টো চিত্র ডিমের বাজারে। ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ১০ টাকা বেড়ে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা ডজনে বিক্রি হচ্ছে।