আইপিএলে চলছে রানের উৎসব। আসরের ৩৬তম ম্যাচে এসে ১৬তম বার দেখা গেল ২০০ এর বেশি স্কোর। পাঁচবার পেরিয়েছে ২৫০ এর গণ্ডি। স্বাভাবিকভাবেই দর্শকদের কাছে এবারের আইপিএলের উন্মাদনা অন্য মাত্রায় গিয়ে ঠেকেছে। আইপিলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রানের স্কোর এই আসরেই ভেঙেছে দুবার। আর এই বিষয়টাকেই যেন মানতে পারছেন না ভারতের কিংবদন্তী ব্যাটার সুনীল গাভাস্কার।
আইপিএলে চলতি আসরে বোলাররা যেন নিতান্তই অসহায়। বল হাতে রীতিমত দুঃসময় পার করছে তারা। সবশেষ হায়দরাবাদের ইনিংসের কথাই বিবেচনা করা যাক। অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ট্রাভিস হেড এবং অভিষেক শর্মা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসই বদলে দিয়েছেন। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে দুজনে তুলেছেন ১২৫ রান। যেকোনো ধরণের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে যা সর্বোচ্চ।
এমনকি আইপিএলের ইতিহাসেই দ্রুততম দলীয় শতক এবং দ্বিতীয় দ্রুততম দুইশ রান এদিন গড়েছে হায়দরাবাদ। ক্ষ্যাপাটে এমন এক দিনের পর গাভাস্কারের পরামর্শ আইপিএলের মাঠের আকার আরও খানিকটা বৃদ্ধি করা হোক। তাহলেই ব্যাটারদের পরীক্ষা নেয়া যাবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি।
অনেকেরই মত, ব্যাটের আকারে পরিবর্তন আনা উচিৎ। কিন্তু গাভাস্কার এতে রাজি নন কোনোভাবেই, ‘আমি ব্যাটের আকার বদলাতে বলব না। ওটা নিয়মের মধ্যেই আছে। আমি যেটা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি, প্রতিটি মাঠে বাউন্ডারির সীমানা বাড়ান। আজকের এই মাঠেই (অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম) তাকান। এখানে বাউন্ডারি দড়ি আরও কয়েক মিটার পেছানো যায়।’
গাভাস্কারের ভাষ্য, ‘বাউন্ডারি একটু বাড়ালে ক্যাচ এবং ছক্কার পার্থক্য বোঝা যায়। এলইডি কিংবা বিজ্ঞাপন বোর্ড পিছিয়ে ২–৩ মিটার বাউন্ডারি বাড়ানো যেতেই পারে। যেটা পার্থক্য গড়ে দেবে। নয়তো বোলাররা ভোগান্তির মধ্যেই থাকবে।’
ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ব্যাটারের আপত্তি আছে কোচিং এবং অনুশীলন পদ্ধতি নিয়েও। বর্তমান সময়ের কোচিং পদ্ধতির সমালোচনা করে গাভাস্কারের মন্তব্য, ‘গত কয়েক বছর ধরে দেখছি, টি–টোয়েন্টি ব্যাটিংটা হয়ে নেট অনুশীলনে কোচের কথার মতো, ‘‘যাও শেষ রাউন্ড খেলে আসো’’। এরপর সবাই সমানে ব্যাট ঘোরাতে শুরু করে। আউট হলো কি হলো না সেটা ব্যপার নয়। একটা পর্যায় পর্যন্ত এটা ভালোই লাগে। কিন্তু বেশি হয়ে গেলে তখন আর উত্তেজনা কাজ করে না।